ক্রোমােসােমের প্রকারভেদ

ক্রোমােসােমের প্রকারভেদ

বৈশিষ্ট্যানুসারে কোষের ক্রোমােসােম মূলতঃ দু’প্রকার। যথা-

  1. অটোসােম (দৈহিক সকল বৈশিষ্ট্য নির্ধারণ করে)
  2. সেক্স ক্রোমােসােম (লিঙ্গ নির্ধারণ করে)।

সেন্ট্রোমিয়ারের অবস্থানের উপর ভিত্তি করে ক্রোমােসােমকে নিম্নোক্তভাবে ভাগ করা যায়।

মধ্যকেন্দ্রিক (Metacentric)

যে সকল ক্রোমােসােমের সেন্ট্রোমিয়ারটি মাঝখানে অবস্থিত তাকে মধ্যকেন্দ্রিক ক্রোমােসােম বলে। কোষ বিভাজনের অ্যানাফেজ দশায় মধ্যকেন্দ্রিক ক্রোমােসােমকে ইংরেজি V অক্ষরের মত দেখায়। মধ্যকেন্দ্রিক ক্রোমােসােমের বাহু দুটির দৈর্ঘ্য মােটামুটি পরস্পর সমান থাকে।

উপমধ্যকেন্দ্রিক (Sub-metacentric)

যে সব ক্রোমােসােমের সেন্ট্রোমিয়ারটি ঠিক মধ্যখানে না থেকে সামান্য দূরে এক পাশে থাকে তাদেরকে উপমধ্যকেন্দ্রিক ক্রোমােসােম বলে। কোষ বিভাজনের অ্যানাফেজ দশায় উপমধ্যকেন্দ্রিক ক্রোমােসােমকে ইংরেজি L অক্ষরের। দেখায়। উপমধ্যকেন্দ্রিক ক্রোমােসােমের একটি বাহু অন্যটি থেকে সামান্য বড়।

ক্রোমােসােমের প্রকারভেদ

উপপ্রান্তকেন্দ্রিক (Acrocentric)

যে সকল ক্রোমােসােমের সেন্ট্রোমিয়ারটি কোন এক প্রান্তের কাছাকাছি অবস্থিত থাকে তাকে উপপ্রান্তকেন্দ্রিক ক্রোমােসােম বলে। কোষ বিভাজনের অ্যানাফেজ দশায় উপপ্রান্তকেন্দ্রিক ক্রোমােসােমকে ইংরেজি j অক্ষরের মত দেখায়। এ সকল ক্রোমােসােমের এক বাহু অনেক লম্বা এবং অপর বাহু বেশ খাটো।

প্রান্তকেন্দ্রিক (Telocentric)

যে সব ক্রোমােসােমের সেন্ট্রোমিয়ারটি একেবারে প্রান্তে থাকে তাকে প্রান্তকেন্দ্রিক ক্রোমােসােম বলে। কোষ বিভাজনের অ্যানাফেজ দশায় প্রান্তকেন্দ্রিক ক্রোমােসােমকে ইংরেজি I অক্ষরের মত দেখায়। এ ধরনের ক্রোমােসােম একবাহুবিশিষ্ট।

Leave a Comment