প্রতিসাম্যতা কী? প্রতিসাম্যতার প্রকারভেদ।

প্রতিসাম্যতা কী?

প্রাণিদেহকে উলম্ব বা আনুভূমিক তল বা অক্ষ বরাবর কেটে সমান ও সাদৃশ্যপূর্ণ একাধিক খণ্ডে বিভক্ত করার প্রক্রিয়াকে প্রতিসাম্যতা বলে।

প্রতিসাম্যতার প্রকারভেদ

প্রাণিদেহের বিভিন্ন অঙ্গের সুষম বন্টনকে প্রতিসাম্য বলে। অধিকাংশ প্রাণীর দেহই প্রতিসাম্য প্রদর্শণ করে।প্রতিসাম্য প্রধানত নিম্নবর্ণিত চার ধরনের।

(১) গােলীয় প্রতিসাম্য (Spherical symmetry)

গােলীয় প্রতিসাম্যও একটি গােলককে যেভাবে কেন্দ্রের মধ্য দিয়ে অতিক্রান্ত যে কোনাে তল বরাবর সমান অংশে ভাগ করা যায় তেমনিভাবে কোনাে প্রাণিদেহকে যদি ভাগ করা যায়, তাকে গােলীয় প্রতিসাম্য বলে। কয়েক ধরনের ভাসমান বা গড়ান প্রােটোজোয়ায় (এককোষী প্রাণী) এ প্রতিসাম্য দেখা যায়।

(২) অরীয় প্রতিসাম্য (Radial symmetry)

কোনাে প্রাণীর দেহকে যদি কেন্দ্রীয় অক্ষ বরাবর কেটে দুই বা দুইয়ের বেশী সংখ্যক সমান অংশে ভাগ করা যায়, তবে সে ধরনের প্রতিসাম্যকে অরীয় প্রতিসাম্য বলে। উদাহরণ- হাইড্রা, সমুদ্র তারা ইত্যাদি।

(৩) দ্বিপার্শ্বীয় প্রতিসাম্য (Bilateral symmetry)

ও যদি কোনাে প্রাণীর দেহকে তার কেন্দ্রীয় অক্ষ বরাবর শুধু একবার দুটি সমান অংশে ভাগ করা যায়, তখন তাকে দ্বিপার্শ্বীয় প্রতিসাম্য বলে। উদাহরণ তেলাপােকা, ব্যাঙ, মানুষ প্রভৃতি।

(৪) অপ্রতিসাম্য (Asymmetry)

যখন কোনাে প্রাণীর দেহকে অক্ষ বরাবর ছেদ করলে একবারও সমান দুটো অংশে ভাগ করা যায় না তখন তাকে অপ্রতিসাম্য বলে। উদাহরণ— অ্যামিবা, স্পঞ্জ, শামুক ইত্যাদি।

প্রতিসাম্যতা কী? প্রতিসাম্যতার প্রকারভেদ।

Leave a Comment