বহিঃশ্বসন কৌশল লিখ। পালমোনারি ভেন্টিলেশন কী? শ্বসনহার কী?

শ্বাস ক্রিয়া কী?

যে প্রক্রিয়ায় ফুসফুসে অক্সিজেন সমৃদ্ধ বায়ু প্রবেশ করে এবং কার্বন ডাইঅক্সাইড সমৃদ্ধ বায়ু ফুসফুস থেকে বের হয়ে যায় তাকে শ্বাসক্রিয়া (Breathing) বলে।

পালমোনারি ভেন্টিলেশন কী?

নির্দিষ্ট সময়ে যে আয়তনের বায়ু ফুসফুসের মধ্যে আসা-যাওয়া করে তাকে ফুসফুসীয় বায়ুপ্রবাহ বা পালমােনারি ভেন্টিলেশন বলে।

৭৫ কেজি ওজন বিশিষ্ট বয়স্ক মানুষে প্রতি মিনিটে ১২ বার প্রশ্বাস-নিশ্বাস সংঘটিত হয়। এ সময়ে ফুসফুসের মধ্যে প্রায় ৬ লিটার বায়ু আসা-যাওয়া করে। বক্ষ ও উদর গহবরের মধ্যবর্তী পেশি, অনুপ্রস্থ পর্দা (ডায়াফ্রাম) এবং পর্শুকার (Ribs) মধ্যবর্তী স্থানসমূহে বিদ্যমান ইন্টারকস্টাল পেশির যুগপৎ সংকোচন-শ্লথনে শ্বসনক্রিয়া সংঘটিত হয়। মানুষের শ্বসন কৌশল দুটি পর্যায়ে সম্পন্ন হয়। যথা- (ক) শ্বাস গ্রহণ ও (খ) শ্বাস ত্যাগ।

বহিঃশ্বসন কৌশল

৭৫ কেজি ওজন বিশিষ্ট বয়স্ক মানুষে প্রতি মিনিটে ১২ বার প্রশ্বাস-নিশ্বাস সংঘটিত হয়। এ সময়ে ফুসফুসের মধ্যে প্রায় ৬ লিটার বায়ু আসা-যাওয়া করে। বক্ষ ও উদর গহবরের মধ্যবর্তী পেশি, অনুপ্রস্থ পর্দা (ডায়াফ্রাম) এবং পর্শুকার (Ribs) মধ্যবর্তী স্থানসমূহে বিদ্যমান ইন্টারকস্টাল পেশির যুগপৎ সংকোচন-শ্লথনে শ্বসনক্রিয়া সংঘটিত হয়।

মানুষের বহিঃশ্বসন কৌশল দুটি পর্যায়ে সম্পন্ন হয়। যথা-

  • (ক) শ্বাস গ্রহণ
  • (খ) শ্বাস ত্যাগ

শ্বাস গ্রহণ বা প্রশ্বাস (Inspiration) কৌশল

এ প্রক্রিয়ায় ডায়াফ্রাম সংকুচিত হয়ে নিচের দিকে নেমে যায় এবং পশুকার ইন্টারকস্টাল পেশিগুলাে সংকুচিত হয়ে পশুকাগুলােকে বাহির দিকে ও উপরের দিকে ঠেলে দেয়। ফলে বক্ষ গহবর দৈর্ঘ্য ও প্রস্থে প্রসারিত হয়। বক্ষ গহ্বরের আয়তন বেড়ে যাওয়ায় অন্তঃপুরা (Intrapleura) অঞ্চলের চাপ কমে যায়।

কিন্তু ফুসফুস মধ্যস্থ চাপ বেশি থাকায় ফুসফুস দুটি প্রসারিত হয়, ফলে পরিবেশ থেকে অক্সিজেন সমৃদ্ধ বাতাস নাসারন্ধ্র → নাসাপথ →নাসাগলবিল → ল্যারিংক্স ট্রাকিয়া ব্রঙ্কাস হয়ে ফুসফুসের ব্রঙ্কিওলের মাধ্যমে অ্যালভিওলিতে প্রবেশ করে। অ্যালভিওলিতে অক্সিজেনের চাপ এদের বেষ্টনকারী রক্তজালকের অক্সিজেনের চাপ হতে বেশি হওয়ায় অক্সিজেন রক্তজালকে প্রবেশ করে এবং সেখান হতে রক্তপ্রবাহের মাধ্যমে কোষে চলে যায়।

বহিঃশ্বসন কৌশল। শ্বাস গ্রহণ বা প্রশ্বাস কৌশল। শ্বাস ত্যাগ বা নিঃশ্বাস কৌশল।

শ্বাস ত্যাগ বা নিঃশ্বাস (Expiration) কৌশল

প্রশ্বাসের পরপরই এটি সংঘটিত হয়। নিশ্বাসকালে ডায়াফ্রাম ও ইন্টারকস্টাল পেশির শ্বসন হলে ডায়াফ্রাম ও বক্ষগহবর পূর্বের অবস্থায় ফিরে আসে। এতে বক্ষ গহ্বরের আয়তন কমে যায় এবং এর ভেতরের চাপ বৃদ্ধি পায়।

ফলে ফুসফুসের ভেতরে বাতাসের উপর চাপ পড়ে এবং কার্বন ডাইঅক্সাইড যুক্ত বাতাস অ্যালভিওলি → ব্রঙ্কিউল → ব্রঙ্কাস → ট্রাকিয়া → ল্যারিংক্স → নাসাগলবিল ও নাসাপথ হয়ে নাসারন্ধ্রপথে বাহিরে নিষ্ক্রান্ত হয়।

শ্বসন হার কী?

প্রতিটি প্রশ্বাস-নিশ্বাসে গৃহীত অক্সিজেন ও উৎপন্ন কার্বন ডাইঅক্সাডের অনুপাতকে শ্বাসহার বলে।

বায়ুমাত্রা বা টাইডাল ভলিউম (Tidal Volume) কী?

স্বাভাবিক শ্বাসকার্যের সময় প্রতিবারে যে আয়তনের বাতাস ফুসফুসে আসা-যাওয়া করে তাকে বায়ুমাত্রা বলে। স্বাভাবিক অবস্থায় বায়ুমাত্রা = ৫০০ মিলিলিটার।

শ্বসন মিনিট ভলিউম (Respiratory Minute Volume RMV) কী?

বায়ুমাত্রাকে প্রতি মিনিটে সংঘটিত নিশ্বাস-প্রশ্বাসের সংখ্যা দ্বারা গুণ করে শ্বসন মিনিট ভলিউম পাওয়া যায়।
RMV = ৫০০ মি.লি x১২ = ৬,০০০ মি.লি= ৬ লিটার

Leave a Comment