Echinodermata(একাইনোডার্মাটা) পর্বের বৈশিষ্ট্য ও উদাহরণ।

পর্ব :Echinodermata(একাইনােডার্মাটা)

(গ্রীক , echinos = কাটা + derma = ত্বক। ১৭৩৪ সালে Jackar Kline এর নামকরণ করেন।)

১৭৩৪ সালে Jackar Kline একাইনোডার্মাটা পর্বটির নামকরণ করেন। এ পর্বে শনাক্তকৃত জীবন্ত প্রজাতির সংখ্যা ৭,৫৫০টি। একাইনোডার্মাটা পর্বের প্রাণীরা ত্রিস্তরী, প্রকৃত-সিলোমেট ও অঙ্গ-তন্ত্র মাত্রার গঠন সম্বলিত প্রজাতি।

সকল একাইনোডার্ম সদস্য কাঁটাময় ত্বকবিশিষ্ট হয়। এদের ত্বকের নিচে শায়িত চুনময় অন্তঃকঙ্কালিক প্লেট থেকে এসব কাঁটার সৃষ্টি হয়। মূলত এই কাঁটাগুলো হলো বহিঃকঙ্কাল এবং প্লেটগুলো হলো অন্তঃকঙ্কাল।

Echinodermata(একাইনোডার্মাটা) পর্বের বৈশিষ্ট্য:

  1. দেহ অখন্ডকায়িত; পূর্ণাঙ্গ প্রাণী পঞ্চঅরীয় প্রতিসম ও এদের দেহ অখণ্ডকায়িত,তারকাকার গোলাকার, চাকতির মতো।
  2. প্রাণীরা অনেক সময় লম্বাকৃতির হয়। কিন্তু লার্ভা দশায় এ পর্বের প্রাণী দ্বিপার্শ্বীয় প্রতিসম হয়ে থাকে।
  3. এদের দেহ কাঁটাযুক্ত এবং স্পাইন (Spine) ও পেডিসিলারি (Pedicellariae) নামক বহিঃকঙ্কালযুক্ত।
  4. দেহ মৌখিক এবং মুখ থেকে দূরবর্তী প্রান্ত অর্থাৎ বিমৌখিক তলে বিন্যস্ত।
  5. এদের দেহের বহির্ভাগের মৌখিক তলে পাঁচটি নিচু খাঁজের মতো অ্যাম্বুল্যাকরাল খাদ বা Ambulacral groove থাকে।
  6. দেহের ভেতরে সিলোম নামে বিশেষ গহ্বর থেকে সৃষ্ট পানি সংবহনতন্ত্র (Water Vascular System)রয়েছে। এর সংশ্লিষ্ট নালিকা পদ (Tube feet) এদের চলন অঙ্গ।
  7. চলন অঙ্গটি চলন ছাড়াও শ্বসন এবং খাদ্য আহরণেও সাহায্য করে।
  8. এদের রক্ত সংবহনতন্ত্র অনুপস্থিত তবে হিমাল ও পেরিহিমালতন্ত্র, সংবহনতন্ত্রের কাজ করে।
  9. এদের রেচনতন্ত্র নেই কিন্তু ত্বর্কীয় ফুলকা, নালিকা পা বা শ্বসনবৃক্ষ ইত্যাদি দিয়ে এরা শ্বসন সম্পন্ন করে।
  10. এরা একলিঙ্গ প্রাণী।
  11. এদের নিষেক বাহ্যিক এবং জীবনচক্রে মুক্ত সাঁতারু লার্ভা আছে। অর্থাৎ প্রাণীগুলি শুক্রাণু বা ডিমগুলিকে জলে ছেড়ে দেয় যা কার্যকরী হয়ে মুক্ত সাঁতারের লার্ভা হয়ে যায়।
  12. এ পর্বের সকল সদস্যই সামুদ্রিক

Echinodermata(একাইনোডার্মাটা) পর্বের উদাহরণ:

Antedon bifida (পালক স্টার),Cucumaria planci (সমুদ্র শশা ),Ophiothrix fragilis (কাঁটাযুক্ত ব্রিটল স্টার),Echinus esculentus (সমুদ্র আর্চিন),Astropecten euryacanthus (সাধারণ স্টার ফিশ)

Echinodermata(একাইনোডার্মাটা) পর্বের বৈশিষ্ট্য ও উদাহরণ।

Leave a Comment