পর্ব : Platyhelminthes(প্লাটিহেলমিনথেস)
(গ্রীক, platy = চ্যাপ্টা + helminthes = কৃমি। ১৮৫৯ সালে Gogenbour এ পর্বের নামকরণ করেন)
১৮৫৯ সালে Gogenbour এ পর্বের নামকরণ করেন। প্লাটিহেলমিন্থেস পর্বের শনাক্তকৃত জীবন্ত প্রজাতির সংখ্যা ঊনত্রিশ হাজার চারশো সাতাশিটি।
এদের অধিকাংশই মানুষ ও অন্যান্য প্রাণিদেহে অন্তঃপরজীবী হিসেবে বাস করে। এরা সরলতম প্রথম ত্রিস্তরি প্রাণী। এদের দেহে সর্বপ্রথম টিস্যু-অঙ্গ মাত্রার গঠন দেখা যায়।
Platyhelminthes(প্লাটিহেলমিনথেস) পর্বের বৈশিষ্ট্য
- ১। দেহ পাতা বা ফিতার মতাে উপরে-নীচে চাপা ও দ্বিপার্শ্বীয় প্রতিসম।
- ২। দেহ গহ্বর বা সিলােম নেই; এরা অ্যাসিলোমেট প্রাণী হিসেবে পরিচিত। বিভিন্ন অঙ্গের ফাঁকে ফাঁকে মেসেনকাইম নামক কলা থাকে।
- ৩। শিখা কোষ বা ফ্লেম সেল (Flame cell) এর মাধ্যমে রেচন কাজ পরিচালনা করে।
- ৪। দেহের পেশীগুলাে স্তরে স্তরে ও গুচ্ছাকারে বিন্যস্ত থাকে।
- ৫। চোষক বা হুক দিয়ে পােষকদেহের সঙ্গে লেগে থাকে।
- ৬। দেহত্বক সিলিয়াযুক্ত এপিডার্মিস অথবা কিউটিকল-এ আবৃত।
- ৭। রক্ত সংবহন ও শ্বসনতন্ত্র অনুপস্থিত।
- ৮। এ পর্বের প্রাণীরা উভলিঙ্গ; নিষেক অভ্যন্তরীণ এবং পরিস্ফুটন প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ ধরনের।
- ৯। অধিকাংশ পরজীবী। অনেক সদস্য সরাসরি দেহতলের সাহায্যে পুষ্টি গ্রহণ করে। কিছুসংখ্যক মুক্তজীবী।
Platyhelminthes(প্লাটিহেলমিনথেস) পর্বের উদাহরণঃ
Dugesia tigrina (প্ল্যানেরিয়া), Fasciola hepatica (যকৃত কৃমি), Taenia solium(ফিতাকৃমি)
